শেষ খবর

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widge

Responsive Advertisement

আশুগঞ্জের চেয়ারম্যান রাসেল-নোমান ভ্রাতৃদ্বয় রাষ্ট্রোদ্রোহী অপরাধক করাও বাদ দেয়নি: ভিকটিম সাধারণ কৃষক সমাজ!!

(ছবি: প্রতীকী)


বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : 'সকল দুর্নীতি, অনিয়ম আর উশৃঙ্খলা‌র মূল কারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া', -এমনটাই বলেন সাধারণ মানুষ ও কৃষক সমাজ। সে ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে উক্ত এলাকায় অভিযোগের শেষ নাই! তারা দুইভাই নানান দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে লোক ঠকিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, এমন‌ই অভিযোগ মেলে স্থানীয় সূত্রে। স্থানীয় লোকজন জানান, তারা দুই ভাই হঠাৎ করেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন! ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবার পর থেকেই রাসেল মিয়া যেনো আর মানুষ নাই! তার কাছে কোনো প্রকারের নাগরিক সেবার জন্য গেলেই সে ও তার লোকজন মিলে বিভিন্ন অযুহাতে হয়রানী করা করে, মূলতঃ তাদের সবকিছুই একমাত্র টাকার জন্যে, তাদের কাছে মানবতার সময় নাই। 

সরেজমিনে অনুসন্ধান শেষে ঘুরে এসে প্রতিবেদকের দল জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ৩নং ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নাই। সকলে এর একমাত্র কারণ হিসেবে চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল ও তার ভাইয়ের অনৈতিক খায়েশ ও লুটেপুটে খাওয়াকেই দ্বায়ী করেন।


এ বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য লোকজন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলে, উত্তরে চেয়ারম্যান বলেছেন,
"নির্বাচনের সময় নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছি, তাছাড়া এসব টাকা থেকে উপজেলায় হিসাব করে টাকা দিতে হয়, ডিসি অফিস পর্যন্ত আরও কতও জায়গায় যায় আপনারা তা জানেন না। এখানে আমি একা না...!"

সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুর্গাপুর ইউনিয়ন নিবাসী একজন শিক্ষিত সরকারী চাকরীজীবি অভিযোগ করে বলেন, 
"তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই‌ শুরু হয়েছে একটা কেড়ে নিয়ে খাবার প্রবণতা, তার চেয়ারম্যানগিরি পাবার পর থেকে এখানে আর কোনো রকমের নাগরিক সেবা ফ্রীতে বা সরকারের নির্দেশ মতে পাওয়া যায় না, পেতে হলে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবেই, সে আপনি যতোই মোচড়া-মুচড়ি করেন না কেনো লাভ হবে না। ওসব টাকা চেয়ারম্যান সাহেব তার দুই বিশ্বস্ত সহযোগী, মোঃ খোকন মিয়া গং ও 'জামাত শিবির' -খ্যাত গাড়ীর ড্রাইভার মোঃ তানভীর গং -এর মাধ্যমে আদায় করে থাকেন।"

রাসেল চেয়ারম্যানের পালা গুন্ডাবাহিনী ভয়ে নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন স্থানীয় নারী ও পুরুষ জানান, 

"আমাদের এখানে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে প্রতিটি নিবন্ধনের জন্য আমাদের সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা গুনতে হয়, একমাত্র তাদের উছিলায়!"


সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে এই চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে বেসুমার দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। 

যেমন তার ভাইয়ের ঐতিহাসিক সার কেলেঙ্কারী

ছবি: অনৈতিক ভাবে চেয়ারম্যান স্কুলের ফলকে নিজের সাথে বাপ-ভাইয়ের নাম‌ও জুড়ে দেন; সংগৃহীত)


উল্লেখ্য এর আগে এডিপির‌ অর্থায়নে যে স্কুল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, রাসেল চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার নাম ফলকে নিজের নামসহ আপন ভাই এমনকি বাবার নামটাও সংযোজন করেছেন নাম ফাটাতে। ওদিকে এলাকাবাসীর মতে, 
"তারা স্বপরিবির সবাই মিলে তো হরিলুট করছে, উন্নয়ন তাদের কাজ না, তারা চেয়ারম্যানের বাপ-ভাই পরিচয় দিয়ে সবকিছু বেচেকিনে খাবার কাজ করে! যেনো টাকা-পয়সা সবকিছু তাদের পূর্বপুরুষদের, তাই তারা যা খুশি করবে, তাদেরকে দিতেই হবে নয়তো কোনো কাজ হবেনা, না দিলে প্রকাশ্যে মার খাবার সম্ভাবনাই বেশী।" 
এছাড়াও তথ্য মিলেছে, তারা ভূমি হস্তান্তরের সময় প্রকাশ্যেই সবাইকে মিথ্যা কথা বলেকয়ে কর বাবদ দেখিয়ে প্রাপ্ত টাকা থেকে ১% টাকা গুণে গুণে নিয়ে আত্মসাৎ করেন, যার‌ পরিমাণ‌ও ছিলো ‌প্রায় ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকারও বেশী। এছাড়াও তারা যে প্রকল্প বাস্থবায়ন না করে এবং ভূয়া প্রকল্প দেখিয়েও লাখ লাখ টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে, -এমন‌ একাধিক তথ্য মিলেছে। 

উক্ত এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের সাধারণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময় তারা আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, 'ট্রেড-লাইসেন্স করার ফি সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারিত থাকতেও এদের চাঁদাবাজির কারণে ৪০০শ থেকে ৫০০শ টাকা ছাড়া ট্রেড-লাইসেন্স মেলে না, কোন কোন ক্ষেত্রে'তো ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকাও হাতিয়ে নেয়া হয়! 

এই এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়‌ যে নিয়োগ বিহীন উদ্যোক্তা, আসলে চেয়ারম্যানের 'চামচা', মোঃ খোকন মিয়া তলে তলে সাধারণ লোকের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিয়েছে চেয়ারম্যানের হাত ধরেই। এখন যেসব লোকজন নিবন্ধন করতে যায় তাদের কাছ থেকে সে বিভিন্ন উছিলায় বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করে। আর যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বয়স কমিয়ে-বাড়িয়ে নিবন্ধন করতে চায় বা যারা চায় একাধিকবার নিবন্ধন করবে সে সেই তাদের খায়েশ পুরণ করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে ভাগাভাগি করে খায়।" 

সরেজমিনে স্থানীয়দের বদৌলতে এই খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে এছাড়াও আরও নানান ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে যে গুলার প্রতিটিই একটির চেয়ে একটি অধিকতর ঘৃণ্য অপরাধ বলে গণ্য।

খোকন মিয়া কোন কোন নিবন্ধনে বয়স হেরফের করে ১০/১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান কয়েকজন। খোকন মিয়ার দালালীতে বেশ কয়েকটি জালিয়াতি ও ভুলভাল তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করে দেয়া জন্মনিবন্ধনের প্রমাণ‌ও চলে আসে প্রতিবেদক দলের হাতে। যেখান থেকে দুটিকে তাৎক্ষণিক প্রমাণ করা গেছে যে এগুলো ১০০% জালিয়াতি করে বানানো হয়েছে, যা রাষ্ট্রোদ্রোহীর অপরাধ বলে মহামান্য আদালত মনে করেন।

খোকনের দালালীতে জালিয়াতি করে তৈরি করা ভুয়া নিবন্ধনের কিছু প্রমানিত তথ্য,

১) মোছাঃ কেয়া আক্তার,জন্ম নিবন্ধন নং: ২০০৫১২১৩৩৩৮০২৬৬৫৩, জন্ম তারিখ: ১২/১১/২০০৫, বহি নং-০৬ এই নিবন্ধনটি অনলাইনে থাকা সত্বেও সেই মোছাঃ কেয়া আক্তারকেই আবার জন্ম নিবন্ধন নং: ২০০৩১২১৩৩৩৮১১৬১০৪, জন্ম তারিখ: ১২/১১/২০০৩, বহি নং- ১৪তে করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্য আরও একটি নিবন্ধন ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে করিয়া দেন খোকন মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এবং অপর দিকে সে আবার নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে দেয়ার কারসাজি করে বাল্য বিবাহ দানেও সহযোগিতা যে করেছেন, এমন‌ও তথ্য মিলেছে। ২) পারভেজ মিয়া, জন্ম নিবন্ধন নম্বর: ২০০১১২১৩৩৩৮০০৭২৮৩, জন্ম তারিখ: ১৫/৬/২০০১, বহি নং- ০২তে,-এই নিবন্ধনটি অনলাইনে থাকা সত্ত্বেও একই ব্যক্তি পারভেজ মিয়াকে নিবন্ধন নম্বর: ১৯৯৯১২১৩৩৩৮১১৬১০৩, জন্ম তারিখ: ১৫/৬/১৯৯৯ইং, বহি নং- ১৪ তে করে দেয়া হয়েছে।

আশেপাশে, স্থানীয় চায়ের দোকান অথবা হোটেলে রেস্টুরেন্টে লোকের মুখে চাপা ক্ষোভ মেশানো গুঞ্জন চলে, 
"তিনি রাসেল মিয়া, তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেককেই এসব পায়তারা শুরু করছেন, এসব বয়স বাড়ানো কমানো'র মতো কুকামে জড়ানো একজন চেয়ারম্যানের মানায়? তারা টাকার জন্যে ভুল তথ্য দিয়ে, যে লোকের একটা আছে, তারপরেও তাকে একটা অবৈধ নিবন্ধন করিয়ে দিয়ে ডাটা‌ব্যাজে যে অরাজকতা ও দ্বৈত নিবন্ধনের জন্ম দিলো, তার পাশাপাশি তারা যে অনৈতিক বাল্য বিবাহ দানে সহযোগিতা করলো বয়স বাড়িয়ে নিবন্ধন বানিয়ে দিয়ে এসব কেনো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দেশের দন্ডবিধী আইনানুযায়ী রাষ্ট্রোদ্রোহীতার অপরাধ বলে গণ্য হবেন না, -এটাই এলাকাবাসীর প্রশাসনের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন।"

সাধারণ মানুষ জানান, এই প্রতিহিংসামূলক ক্ষমতা বাজীর বিরুদ্ধে জেলার সকল পর্যায়ের প্রশাসন ও নেতাদের পেছনে তারা দৌড়াতে দৌড়াতে পেরেশান, টাকা পয়সাসহ এখন তারা সব হারা, তারা তাদের জীবন থেকে যেনো ভালো মন্দ সবকিছু হারিয়ে এতিম হয়ে গেছে চেয়ারম্যান বাহিনীর সামনে, ছেলে মেয়েদের‌ও ক্ষতি হচ্ছে, 

ওদিকে শিশুরা যেনো কৈশোর‌ই মুরুব্বিদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে, তাদের আকসারা পেয়ে, একাধিক অভিভাবকরা এমন কথা বলেও দুংখ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের দল অনুসন্ধানের কাজে আশুগঞ্জে প্রায় ১৫ দিনের মতো অবস্থান করেন, তবে যাওয়া আসার মধ্যে ছিলো তারা। তারা জানায় যে এখানকার কৈশোর সমাজ জন্ম‌ই নিচ্ছে একটা নোংরা ও বিষাক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশসহ এহেনো জঘন্য নেত্রীত্বের অধীনে। তারা জানায়, এসব সব জায়গায় ২৪ঘন্টা ইয়াবা মেলে, আশুগঞ্জ থানার নাকের ডগা দিয়েই হচ্ছে কিন্তু দেখার মতো নেই কেউই বলা চলে। 

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জের ওইসব কোটিপতি ও বিশিষ্ট জনদের‌ মধ্যেও অনেকের‌ই যে ইয়াবাতেও সখ্যতা রাখেন না তাও কিন্তু নয়, এছাড়াও একাধিক প্রমান‌ও মেলে তথ্যকর্মীদের কাছে। সরেজমিনে প্রমাণ মেলে যে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে আশুগঞ্জের সিলেট মহাসড়কের দুই ধারে সমান তালে নাশকতা চলে! সঠিক নেতৃত্ব আর অভিভাবক শূন্য সমাজ ব্যবস্থার কারণে আশুগঞ্জে একটা অসুস্থ প্রজন্ম জন্ম নিচ্ছে। 

এছাড়াও বেশকিছু অশিক্ষিত কিন্তু হঠাৎ ধনীরা পুরো আশুগঞ্জ উপজেলাটিকে বানিয়ে খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (নারায়ণগঞ্জের ছেলে মোঃ খালেদ হাসান, যিনি শামীম ওসমানের লোক বলে স্বঘোষিত দাপুটে অফিসার) -এই অফিসারদ্বয়ের সাথে আঁতাত করে। এরমধ্যে খালিদ হাসান রাসেল চেয়ারম্যানের সিন্ডিকেটের সরাসরি অংশ বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। তার মেহেরবানীতেই কোটি কোটি টাকার অবৈধ ড্রায়ার মিলগুলো চলে এলাকাটিকে একটা মৃত্যুপুরিতে পরিনত করেছে। 

এ প্রসঙ্গে তিনি কথার কথায় দাঁত কেলিয়ে বলেন, 
"কি যে বলেন ভাই, এসব কিছুই চেয়ারম্যানের এলাকায় চলে, তার এলাকার পরিবেশ নষ্ট হ‌ইতেছে, তার ভোটার আর তাদের পরিবারেররা অসুস্থ জীবন যাপন করে, তার জ্বলে না আপনি ঢাকার সাংবাদিক আপনার জ্বলে? আর আমি নারায়ণগঞ্জের ছেলে আমার কি জ্বললে হবে!?"

সরেজমিনে মিলেছে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা নিয়ম কানুন না'মানা, সঠিক ছাড়পত্র না পাওয়া অনেকের অনেক কল কারখানা, যেগুলোর প্রত্যেকটাই পরিবেশন জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে সাধারণ মানুষকে কৃতদাসীর মতো করে রেখে, এই এলাকার হাতে গোনা কয়েকজন মিলে সাধারণ মানুষের রক্ত পানি করা টাকা ছলেবলে নিয়ে খাচ্ছেন আর এরাই এই এলাকার 'চেয়ারম্যান সিন্ডিকেট' নামে কুখ্যাত

(ছবি: আশুগঞ্জ বাহাদুরপুর এলাকার পরিবেশ দূষণকারী ড্রায়ার মিল; সংগৃহীত)

তথ্য মিলেছে, অপর এক ঘটনায় গত বছরের রমজান মাসে এই রাসেল চেয়ারম্যান‌ই গুটি করে একটি দৈনিক পত্রিকার ব্যুরো অফিসকে বন্ধ করে আশুগঞ্জ থেকে চিরতরে বিদায় করেছেন নিজেদের আকাম-কুকাম ঢেকে রাখা যাবে না সেই ভয়ে! জানা যায়, এদের‌ সমাজ থেকেই একমাত্র একজন ব্যক্তিই নিজেকে বের করে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন নীতিহীনতার সকল বাঁধা ভঙ্গ করে কিন্তু সেই ভালোমানুষটি হাজার চেষ্টা করেও আশুগঞ্জে তার স্বপ্নের দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার ব্যুরো অফিসটা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। 

শুধু তাই নয়, এরা চক্রন্ত করে এই দৈনিক পত্রিকার অফিসের উদ্যোক্তা ভালোমানুষ ব্যুরো চিফকে কোন এক জুম্মার দিন ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি দোকানে নিয়ে আটকিয়ে কাঠের টুকরা দিয়ে প্রথমে বেদম প্রহার করে, তারপর তাকে দিয়ে জোর করে লাইভ করিয়ে মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য করে, ওদিকে তখন চারিদিকে মসজিদে মসজিদে জুম্মার নামাজ চলে, আর ওদের লোকজন তখন দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দলবল নিয়ে ব্যুরো চিফ এমরানকে মারতে থাকে যতোক্ষণ জুম্মার নামাজ শেষ না হয়।

নামাজ শেষ হবার খবর পেয়ে তারা দোকান খুলে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত এমরানকে মরা কুকুরের মতো ঠেং ধরে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় পেছনেই সবচেয়ে বড়ো নেতার অফিসে। চক্রান্তকারীরা সেই ব্যুরো চিফকে মারধর করে ধরে নিয়ে গিয়ে নেতার অফিসের মাটিতে বসিয়ে, দুই হাত পিছমোড়া করে বেঁধে অপমান ও অপদস্থ করেছিলো, সাথে ছিলেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় একাধিক হলুদ সাংবাদিক নেতারা। যারা নির্দোষ জেনেও এমরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা লিখে একাধিক অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে দেন।

আশুগঞ্জ বাজার এলাকাসহ অনেকেই এ নেককার জনক ঘটনা জানার পর একবাক্যে বলেন, 

"সেদিন নেতা তার চামচাসহ কয়েকজন সাংঘাতিক সাংবাদিক নিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করে ফিরে চক্রান্তময় বিচার শালিসর নামে যা করেছেন সেগুলো প্রহসন ছাড়া কিছুই না।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: সেদিন তাদের দলের সেই সাংঘাতিক সাংবাদিকেরা জেনেশুনে সামান্য কিছু টাকার লোভে একজন অসাংবাদিক যে সাংবাদিকতা শিখতে চায়, তার সাথে যে অমানবিক আচরন করেছেন, যাতে করে এমরানের মনে সাংবাদিক পরিচয়টার উপরেই একটা ঘৃনা ধরে যায়, যা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকতার ইতিহাস হয়ে থাকবে! আর এসব কিছু ছিলো নাটের গুরু চতুর চেয়ারম্যানের আইওয়া, আসল কথা পত্রিকার অফিসটা বন্ধ হয়ে যাক, তাদের দুই ভাইয়ের পাপের পথে একটা চরম বাঁধা বলে মনে করে সে ভাই ভাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ভিলেজ পলিটিক্যাল চাল চেলে আড়ালে থেকে সব করিয়েছেন বলে জানা যায়। 

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় একাধিক তরুণ প্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন যে "এমরান ভাইদের সাথে যা হয়েছে এর সবকিছুই রাসেল চেয়ারম্যানের ইচ্ছায় হয়েছে।"  তারা বলেন, "আমরা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার সন্তান, আশুগঞ্জের বুকে এমরান ভাই একটা জাতীয় পত্রিকা এনেছেন, আর তিনি আনলেন তো আনলেন এমন‌ই এক পত্রিকার হাউজকে তিনি আনলেন যারা এদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী সোচ্সচার। যাদের দুর্নীতি নিয়ে কঠিন কঠিন কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমরান ভাই সেই সবচেয়ে বেশী প্রতিবাদী টিমটাকেই চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। যা জেনে রাসেল চেয়ারম্যানের ভিতরে ভিতরে ঘুম হারাম হয়ে যায় এবং এ কারণেই এমরানের ভাইদের সাথে মিলে চেয়ারম্যান তার ঘরের সামনে থেকে যেকোনো মুল্যে পত্রিকার ওই অফিসটা শেষপর্যন্ত হটিয়েছেনই। অবশ্য হটাবার জন্য তাদের পুলিশ নিয়ে এমরানকে হুমকি ধামকি, মারধর, ঘর ছাড়া করা, পরিবার ছাড়া করা অনেক কিছুই করতে হয়েছে, সাথে টাকাও গেছে অনেক কিন্তু তবুও নাছোড়বান্দা এমরান ভাই সাংবাদিকতার পতাকা তলেই ছিলেন। তারপর চেয়ারম্যানের লোকজনরা সবাই মিলে এমরানকে মেরেধরে, চোরের মতো পোজ নিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে ছবি তুলে নিউজ করে, পুলিশ দিয়ে শাসিয়ে হাসপাতালে পাঠালে পরে হাসপাতালে গিয়ে এমরানের ম্রেট্রিকুলেট মেয়েটা বাবাকে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে কথা নেয় যে "সে আর কোনদিন সাংবাদিকতার সাথে থাকবে না।" তখন স্ত্রী ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে একা অসহায় এমরান হোসেন বাধ্য হয়ে থেমে যায়! 

(ছবি: মোঃ এমরান হোসেন; সংগৃহীত)

এমরান হোসেন বলেন,
"ভাই মাফ করে দিয়েন, একমাত্র মেয়ের চোখের পানি দেখে আর সহ্য করতে পারলাম না। ওদিকে মেটার মেট্রিক পরীক্ষা! মেয়েটা মাশাআল্লাহ ভালো ছাত্রী.....!
...... হারিয়ে যায় ওই দুর্গাপুর ইউনিয়নের ছেলে এমরান হোসেন অন্যজগতে।"

তার দাবী তার বাবা তো কোনো অপরাধ করেন নাই, তাহল তারা কেনো তার বাবাকে মারলো আর মিথ্যা অপবাদ দিলো? -এমরানের কোমলমতি শিশু কন্যাটি যখন কিছুক্ষণ পর পর চোখ মুছছিল এসএসসি পরীক্ষার টেবিলে তখন তাকে কারণ জিজ্ঞেস করায় শিক্ষকের কাছে এটাই অভিযোগ করে। মেয়েটা এতোকিছুর পরেও এএসসিতে খুব ভালো ফলাফল করেছে বলে মুঠোফোনে এমরান হোসেন জানিয়েছিলেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে ফিরে এসে রিপোর্টাররা বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ও মারাত্মক কথা হচ্ছে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাটিই যেনো একটি মুরুব্বিহীন জেলা হয়ে গেছে, এখানে কেউ কাউকে সন্মান করে না। কারণ তারা মান্যিগন্নির শিক্ষা বা ট্রেনিং অথবা কোন সুযোগ পায় না। এ জেলার সবচেয়ে বড়ো যে মুরুব্বি, শেখ হাসিনা‌ও যাকে মূরুবী মানেন সেই মুরুব্বি নেতার ঘরেই ওই আশুগঞ্জ কেন্দ্রিক চেয়ারম্যান সিন্ডিকেটের রাবণের প্রকৃতির সদস্যটি বসবাস করেন। 

হুতাশ করে এক লোক বলেন, 
"দেখেন না তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজখানা! সবচেয়ে মুরুব্বি আওয়ামী নেতার ছেলের পেছনে তো দু-একজন ইয়াবা আর 'ফয়েল-পেপার' নিয়ে সবসময়ই ছোটেই, নদীর চড়ে আর পারে বিষয় না, কখন ভাইয়ের লাগে, -এটাই আসল বিষয় এরাই সরকারি অনুদান ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, এরা বললেন থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়, ভরে দেয় নাটকীয় কেস সাজিয়ে। এইসব ভাইয়ের তো টাকার অভাব নাই। নেতা মুরুব্বিদের সন্তানরা বলে কথা! তাদের সামনে এইসব চেয়ারম্যান, মেম্বাররা একেক সময় কাঠের পুতলা হয়ে যায়, তাদের দরকার টাকা...
দেশে ছুটিতে আসা ওই এলাকার একজন প্রবাসী বলেন, 
"আরে ভাই এতো দেখি মারাত্মক অবস্থা! মাঝে মাঝে তো কনফিউজড হয়ে যাই ভাই! এইসব পোলাপাইনের মধ্যে আসলে কে কে খায় না! এটাই যেনো যুগপযুগী প্রশ্ন হয়ে যাচ্ছে। এদেশের প্রশাসন কি করে? এলাকায় দেখি হাত বাড়ালেই মেলে মাদক, খাইয়া টিনের চশমা চোখে দিয়ে নেতারা যা বলে তাই শোনে মাবাবা বা শিক্ষকদের কোনো পরোয়াই করে না, কি এলাকার মুরুব্বি, সমাজ, নামাজ! ভাই যমুনার তীরে, এপারে চিহ্নিত ভৈরব, ওদিকে ভারতের বর্ডার, এর মাঝে আমাদের জেলা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশের একটি অন্যতম মাদক রুট বলে সুপরিচিত, প্রশ্ন করি, তাহলে এখানকার পুলিশ, প্রশাসন ও অন্যান্য বাহিনীর সরকারি লোকজনরা কি করেন? 

আশ্চর্য কথা! এতো এতো বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের অফিসার থেকে শুরু করে, এতো এতো সব শিক্ষায় শিক্ষিত ও ট্রেনিং নেয়া লোকজন এই জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করছেন, আমার কাছে অবাক লাগে! আমরা তো দেশে বিদেশে হাজার রকম মানুষ আর তাদের বুঝ ব্যবস্থা দেখি, বুঝি কিন্তু আমি বুঝি না, এরা তাহলে কি করেন!?"

ওদিকে সাধারণ মানুষের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন খাত থেকেই খোকন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন‌ই প্রমান মিলেছে 

এদিকে অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ের মধ্যেই এই চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়ার থেকেও আরও মারাত্মক মারাত্মক অপরাধের তথ্য উঠে এসেছে তার আপন ভাইয়ের নামে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়ার আপন ভাইয়ের নাম

(ছবি: পুলিশের উদ্ধার করা সার; সংগৃহীত)



নোমান মিয়া। এই নোমার মিয়ার বিরুদ্ধে অগণিত সাধারণ লোক ও কৃষক সমাজের পক্ষ থেকে‌ সার কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে এসেছে

তারা জানায়, এই নোমান মিয়ার পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সে নিজে বিগত ৫/৬ বৎসর পূর্বেও আশুগঞ্জ ফেরীঘাটে সারের বস্তা টানার কাজের লেবার ছিলেন। আর সেই নোমান‌ই এর মধেই 'হঠাৎ ধনী' হয়ে গেছে। সেই নোমান মিয়াই! এখন হঠাৎ করেই প্রায় ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা গোনে ও কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পত্তি হয়ে গেছে তার, সোনা দানার মালিক বনে গেলো! 

রাসেল মিয়ার ভাই নোমান মিয়ার-এই অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে তার দুর্নীতির সমাহার আর তার বিরুদ্ধে অগণিত অভিযোগ। জানা যায়, ভাই চেয়ারম্যান হয়েছে আর সেই সুবাদে যেনো তিনি পুরো ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াটাই তার হয়ে গেছে, এমন ভাব নিয়ে চলেন। রাজনৈতিক ও সরকারি টাকার লেনদেন থেকে শুরু করে যেকোনো লেনদেন, বিচার শালিসে তার বখরা থাকতে হয়, যেখানেই হোক লেনদেন সেখানেই তাকে টাকা দিতে হয়। কেননা সে চেয়ারম্যানের ভাই, এমনটাই তার চলাফেরা থেকে জীবন ব্যবস্থা...

জানা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত সরকারী সার বের করে নিয়ে গিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় তার নিজস্ব গুদামে আটক করে পরে তা কালো বাজারে বিক্রি করে। 

স্থানীয়রা জানান, "সেবার ক্ষমতার জোরে দুর্নীতির মাধ্যমে এই নোমান মিয়া সরকারী গুদামের সব সার নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা তার নিজস্ব গুদামে মজুদ করেন। ওদিকে হাজার হাজার কৃষক সারের জন্য হাহাকার শুরু করে দেন, তারা দুই গুণ টাকা দিলেও সে সার দেয় না। অতঃপর শেষ মুহূর্তে নোমান সর্বোচ্চে মূল্যে তুলে কেবলমাত্র সেই সব সার বিক্রি করেই শত শত কোটি টাকার কালো পাহাড় গড়েছেন.....!

এছাড়া ভুক্তভোগীরা জানান যে এই সার কালো-বাজারি সম্পর্কে ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানীয় ও একাধিক জাতীয় পত্রিকাতে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও প্রশাসনের পানি গরম হয় না কিছুতেই! এতোকিছুর পরেও সকল ক্ষমতাশীল মহল ও প্রশাসনের এই দুর্নীতিবাজ ভ্রাতৃদ্বয়ের প্রতি নীরব ভূমিকা পালন করাকে সবাই উপহাস করে বলেন, 'অজানা রহস্যে'। 

অনুসন্ধানকালে শত শত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার সহ অগণিত মানুষের মতামত মেলে। দুর্গাপুর ইউনিয়নের সবাই একমত, "চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া ও নোমান মিয়া, ক্ষমতাধর -এই দুই ভাই তাদের যৌথ উদ্যোগে কৃষকের হক, ফসলের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় "সার" রাহাজানি করে নিয়ে গিয়ে নিজস্ব গুদামজাত করে, অতঃপর তা কালো-বাজারি করে যদিও তারা নিজেরা নিজেরা আকাশচুম্বী লাভবান হয়েছেন বটে কিন্তু এর ফলে অপরিসীম ক্ষতির মুখে পতিত হয়েছেন শত শত হতদরিদ্র কৃষক। 

তারা জানায়, এই দুই ভ্রাতৃদ্বয়ের সেই সার কেলেঙ্কারির কারণে কৃষকগন বাধ্য হয়ে‌ শেষ পর্যন্ত তাদের সন্তানসম ফসলের প্রয়োজনে সরকারী দামের চেয়ে কয়েক গুন বেশী দাম দিয়ে সার ক্রয় করে তা ক্ষেতে দিয়ে ফসল ফলিয়েছেন ...... ।

এদিকে এই দুই ভাইয়ের এহেনো মারাত্মক অপরাধের বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে । পাশাপাশি তারা এটাও জানায় যে এবিষয়ে এরপর একটি তদন্ত‌ও হয়েছে বটে, কিন্তু ভুক্তভোগীদের অবস্থা এখনও আগের মতোই গভীর অন্ধকারেই রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, বরং ওসব ঘটনা উতরে চেয়ারম্যান রাসেল ভভ্রাতৃদ্বয় এখন আগে চেয়ে আরও বেশী দাপুটে। এমতাবস্থায় অসহায়, নিরুপায় হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল সর্বশেষ ভরসা মনে করে নিজ জেলা প্রশাসক তথা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, বর্তমানে তাঁর নির্দেশে এই চেয়ারম্যান ভ্রাতৃদ্বয়ের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। 

(ছবি: প্রতীকী)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া ও তার ভাই নোমান মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই মেলে নাই, -এমন‌ই অবস্থা দেখেন প্রতিবেদকের দল। 

তারা বলেন, "লোকমত ও সকল তথ্য মতে, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই চেয়ারম্যান ও তার ভাই কেবলমাত্র দুর্নীতিবাজ‌ই নয়, মানুষ হিসেবে তারা আনেক ভয়ংকর‌ও! এদের সাথে আশুগঞ্জের বিভিন্ন গুন্ডাপান্ডা, আন্ডার ওয়ার্ল্ডের লোকজন, হলুদ সাংবাদিক ও ভালো করে কথাও বলতে পারে না এমন কিছু মিডিয়ারা চলে, ওদের টাকা দিলেই ওরা মিথ্যা স্প্রচার করে তথ্য বিভ্রান্ত করে দেয় 'গণমাধ্যমে সাংবাদিকের তকমা লাগিয়ে', -এরাই কেউ কেউ জেলা সাংবাদিক সংগঠনের নেতাও! এছাড়াও ছোট-বড় সন্ত্রাসীদের সাথে এদের খুব দহরমমহর রয়েছে, শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক অভিযোগ করে বলেন, "চেয়ারম্যান আর তার ভাই বন্ধুদের সাথে আশুগঞ্জের ডাকাত ও জামাত চক্রের সাথেও অনেক সুসম্পর্ক আছে। 

এখানে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরের বর্তমান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর যা যা থেকে মুক্তি পেয়েছে তম্মধ্যে এসিড নিক্ষেপ, সর্বহারা ও ডাকাত (পার্যত্য অঞ্চল ভিন্ন বিষয়) -এই তিনটি ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলা চলে, আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু দুঃখজনক হলেও একথা সত্যি যে তথ্য মতে আশুগঞ্জের শিশুর মনে ডাকাতের ভয় আজও রয়ে গেছে! যার প্রমাণ মিলে লোকমতে এবং প্রায়শ‌ই মেঘনার পানিতে তাসতে থাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পরে পাওয়া অসহায় মানুষ, শ্রমিক, মজুরদের লাশ মেলে বলে প্রশাসন সহ বিভিন্ন নিউজ ডিডিয়ায় খবর প্রকাশিত তথ্য মতে! 

আমরা আতংকিত। আমরা এবিষয়ে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে এবং সারা বাংলাদেশের সকল বাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি, আপনারা এই অঞ্চলটিকে খুনি ডাকাত মুক্ত করুন। উল্লেখ্য গেলো বছর এই এলাকারই অবি নামক এক ইট ভাটার শ্রমিককে টাকার জেল্য যেভাবে মারধর করে তাকে বাজারে দোকানের সামনে ফেলে রেখে গেছে, তারপর অবিকে আর বাঁচানো যায় নাই। ভাটার মালিক পক্ষ অবির পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করে খুশি রাখছে, এটাই একমাত্র পাওয়া খুশির। 

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জের আবাল বৃদ্ধ ভনিতার কাছে এখনও ডাকাত হচ্ছে ২৪ ঘন্টার এক অদৃশ্য আতঙ্কের নাম! উক্ত এলাকায় অগণিত ইটের ভাটা রয়েছে যেখানে প্রায়‌ই ডাকাতের জন্য মোটা অংকের চাঁদা রেডি রাখতে হয়। তারা আগে থেকে বলে রাখে লাখ লাখ টাকা রেডি রাখতে, আর এসে যদি কথা মতো টাকা না দেখে তবেই তারা রাগে ক্ষোভে অসহায় শ্রমিকদের মারধর করতে করতে হত্যা করে থাকে। এইসব ডাকাতের কবল থেকে রক্ষা পায় না, আশুগঞ্জ নিবাসী মেঘনা নদীতে মাছ ধরে যে জেলে সমাজ তারাও, এছাড়াও হঠাৎ কখন কোথায় এসে হাজির হয়ে যায় এই ডাকাতের দল তা কেউ জানে না। অত্র এলাকায় প্রায়শ‌ই নদীর পানিতে বা বিভিন্ন জায়গায় লাশ পাওয়া যায়...

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এবং জেলা প্রশাসক সাহেবের বরাবরে এবার একটা লিখিত অভিযোগ দিয়ে ও মিডিয়ার মাধ্যমেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই এলাকার একাধিক লোক

নিজেদের নাম প্রকাশ না করার আবেদন জানিয়ে কেউ কেউ বলেন, এইসব ডাকাত দলের সাথেও এই ভ্রাতৃদ্বয় চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া ও তার ভাই নোমান মিয়ার ওঠাবসা আছে। ইট ভাটার মালিকরাসহ উক্ত এলাকার যারা অর্থশালী লোকজন আছেন সবাই তাদের দুই ভাইকে ভুতের মতো ভয় করে খেরাজ দিয়ে চলেন।

জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ করার পরেও এতোদিনে যে অবস্থা তা দেখে এই এলাকার অধিকাংশ লোকজন যারা মেহনতি মানুষ তারা প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছেন, তাদের কথা, 'ভাই, দুদকের কাছে আভিযোগ দিয়েও যেহেতু কোনো ফয়দা হয়নি, জেলা প্রশাসক মহোদয়‌ও শেষপর্যন্ত আদৌও কতোটুকু কি করতে সক্ষম হবেন, তা আল্লাহ মালুম,.... বলাই বাহুল্য।

এমতাবস্থায় সকল অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে সহজাত কারণেই প্রশ্ন এসে যায়, তবে কি এবার‌ও দুনীর্তির শক্তিশালী হাতের কাছে প্রশাসন অসহায়ের মতো হেরেই যাবে? 

সবাই পরাজিত এই রাসেল ও তার ভাই নোমানের ক্ষমতার কাছে, যেহেতু তাদের সামনে কেউই মাথা তুলে কথা বলতে পারে না, তাই প্রশ্ন তোলেন, তাহলে এদের খুঁটির জোর কোথায়? 

এছাড়াও চেয়ারম্যান হবার পরেই হঠাৎ মোঃ রাসেল মিয়ার ভোল পাল্টে যায়, সে আর কাউকে পরোয়া করে না। তাই প্রশ্ন আসে, তাদের শত শত কোটি অবৈধ টাকা ছাড়াও আর কে কে আছেন যারা তাদেরকে মদদ দেয়? 

অনেকেই প্রশ্ন করেন, নিরীহ মানুষের মুখের ভাত কেড়ে নেবার মতো এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে!? 

(বিঃদ্রঃ- শেষ প্রশ্নঃ কাদের সাথে চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া গোপনে যোগাযোগ রাখেন? কারা কারা রাসেল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মাসোয়ারা পায়? ডোনেট করলেই 'কিস্তি মাট' কে সেই খেলোয়াড়? আসলে তাদের গুরুজন কারা? 

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও দেশে বিদেশে তারা কোন কোন লোকেরে খেরাজ দেয় এই দুই ভাই? বিতর্কিত লোকজনের সাথে তারা দুই ভাই গোপনে, অতর্কিতে মিলিত‌ও হয়!?

এসব প্রশ্নের উত্তর আসছে, ২য় পর্বে, চোখ রাখুন....)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ