![]() |
| (ছবি: সংগৃহীত) |
নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ শীর্ষ মাদক কারবারি ও ডাকাত মিজানুর রহমান ওরফে পলাশকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত পলাশ মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের মুশফিকুর রহমান (ইউনুস) মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম মাধবপুর, সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে মাধবপুর থানা এলাকায় বিশেষ করে ডাকাতের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে।
পলাশ ও তার সহযোগী চক্র দীর্ঘদিন ধরে হরিতলা সহ আশেপাশের পারা মহল্লার গ্রাম ও মহাসড়ক কেন্দ্রিক মাদক কারবার, ছিনতাই ও ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। তারা নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছিল হয়েছিল ভয়ংকর মাদক ইয়াবার সাম্রাজ্য, অনুসন্ধানে যেখান থেকে বিভিন্ন সময় বিপুল পরিমাণে মাদক ও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঐ গ্রামের স্থানীয় লোকজন আরো জানিয়েছে যে ছোটভাই আলমগীর ও ভাতিজা মুকিত ও মেশকাতের পরিবারের সদস্যরাও মাদক ব্যবসা ও ডাকাতি কাজে সংযুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন অত্র এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বিরা।
মাধবপুর থানা এলাকায় সাহসী সচেতন নাগরিক মোহাম্মদ কুদরত আলী পলাশের এসব অপকর্ম ও মাদক বাণিজ্য নিয়ে রীতিমত তার বিরুদ্ধে স্যোশাল মিডিয়া ও প্রিন্টিং মিডিয়া ও টেলিভিশন চ্যানেলের বিভিন্ন সময় প্রচার অব্যাহত রেখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি ছাড়াও গত ১৫/১১/২০২৫ তারিখে মাধবপুর থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে পলাশ ও তার বাহিনীর হুমকির মুখে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
উল্লেখ্য যে প্রতিবাদ করায় পলাশের বাহিনী একাধিকবার স্থানীয়দের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় সন্ধ্যার পর মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইয়ের শিকার মাদকাসক্তদের কাছ থেকে পলাশ কম দামে চোরাই মোবাইল ও মালামাল কিনে নিত, যা তার অপরাধ নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করেছিল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

0 মন্তব্যসমূহ
Do good not be good.
- সাফকথা